January 2021

 সোনারগাঁও টিভি ২৪.

 নারায়ণগঞ্জ জেলা সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। 

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে সাতদিন চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন আজ শনিবার বাসায় ফিরেছেন বলে তার পারিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন।



সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের এই নেতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যেসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষ তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে হাসপাতালে গিয়ে তার খোঁজখবর নিয়েছেন এবং রোগমুক্তি কামনা করে যারা দোয়া-মিলাদ মাহফিল করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।


গত শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করলে স্বজনরা চিকিৎসার রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সোনারগাঁও টিভি ২৪.কম


ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল   প্রতিনিধি: ‘লাগলে নিয়ে যান, থাকলে দিয়ে যান’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশসেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের উদ্যোগে বেনাপোলে এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল, মাস্ক ও খাবার বিতরণ করা হয়।



শনিবার সকাল ১১ টায় বেনাপোল তালশাড়ি দারুল উলুম কওমি মাদরাসার এতিম শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল, খাবার ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহাবুদ্দিন মন্টু। বাদল নার্সারির পরিচালক বাদল হোসেনের সঞ্চলনায় ৫০জন এতিম শিক্ষার্থীদের হাতে খাবার,মাস্ক ও কম্বল তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সুকুমার দেবনাথ,ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাহেব আলী,হারুনুর রশিদ,মোকলেছুর রহমান মুকুলসহ আরো অনেকে।

সোনারগাঁও টিভি ২৪.কম

নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় রয়েছে সরকার নির্ধারিত ২টি বালু মহাল। 'চররমজান সোনাউল্লাহ-৬ ও আনন্দ বাজার বালু মহাল।

প্রতি বছর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন উক্ত বালু মহাল গুলি বৈশাখ মাস হইতে চৈত্র মাস পর্যন্ত একসনা ইজারা দিয়ে থাকেন। বাংলা ১৪২৫ সালে আনন্দ বাজার বালু মহাল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ও ১৪২৬ সালে ৮০ লক্ষ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে চররমজান সোনাউল্লাহ-৬ বালু মহালের কোন ইজারাদার পাওয়া যায়নি।

করোনার কারনে চলতি বছর ১৪২৭ বাংলা সালে কোন ইজারাদার দরপত্রে অংশ গ্রহণও করেনি। তাই প্রশাসন থেকে কাউকে নতুন করে ইজারাও দেওয়া হয়নি।এমতাবস্থায় ইজারা না থাকার সুযোগে,বর্তমানে আনন্দ বাজার বালু মহালে দিনে রাতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বসবাসকারী স্থানীয় জনগন আছেন আতংকে,কখন ভিটেমাটি নদীর গহ্বরে চলে যায়। এই বিষয়ে গ্রামেবাসী খুবই উত্তেজিত। এবং ক্রমেই এলাকা উত্তপ্ত হচ্ছে। যে কোন সময় আবারও হতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।



উল্লেখ্য যে,আনন্দ বাজার বালু মহালে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে ইতিপূর্বে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গত ডিসেম্বরে (২০১৯) জাকির হোসেন নামে একজন খুন হয়।


সরেজমিনে আজ ২৮ জানুয়ারি দেখা যায়, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আমান গ্রুপের সামনে মেঘনার আলো ড্রেজার, মদিনার আলো ড্রেজার, নবীজির দয়া, এম এম সাহা সহ প্রায় ৮/৯ টি ড্রেজার দিয়ে বসত এলাকার সামান্যতম দূরত্বে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছে একদল বালুসন্ত্রাসী । জানা যায় যুবলীগ নেতা নামধারী রুবায়েত হোসেন শান্তর নেতৃত্বে আল আমিন,আমির,রনি,জনি,মানিক সহ একটি সিন্ডিকেট দিনে রাতে চব্বিশ ঘণ্টা উল্লেখিত বালুমহাল থেকে বালু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান,আমি বারবার প্রশাসনকে জানানোর পরেও প্রশাসন উক্ত বালু উত্তোলন বন্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এলাকাবাসী জানান প্রতিদিন ১৫০ হইতে ২০০ টি ভাল্কহেডের মাধ্যমে এখান থেকে বালু অবৈধ ভাবে উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে বালু দস্যুরা,রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।আর নদী গহ্বরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ভিটে সহ শতশত বসতবাড়ি। 


এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি জানান,শুনেছি অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলিত হচ্ছে,এর কোন সুযোগ নেই। ব্যাবস্থা নিচ্ছি, 

স্থল ও নৌ-পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা অভিযান পরিচালনা করে ব্যাবস্থা নিবো।

সোনারগাঁও টিভিঃ

সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের ছোট ভাই  উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান বাবু, আহবায়ক কমিটির সদস্য ডাক্তার বিরু’র মাতা মানোয়ারা বেগম ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দারের ছোট ভাই স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আবু সিদ্দিকের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। 



সোমবার বিকালে সোনারগাঁও উপজেলাস্থ জেলা অডিটোরিয়ামে সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে এ মিলাদ মাহফিল ও শোক সভার আয়োজন করেন। সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদের সভাপতিত্বে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়নগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মোঃ বাদল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, কমিটির সদস্য ডাক্তার আবু জাফর চৌধুরী বিরু, জাহাঙ্গীর হোসেন, আবু খাঁন, সোনারগাঁও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মাসুদ রানা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ হোসাইন, উপজেলা সাধারন সম্পাদক রাসেল মাহমুদ,  আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন আলম, শাহবুদ্দিন প্রধান, মাসুম বিল্লাহসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। 

 



ইকরামুল ইসলাম   বেনাপোল প্রতিনিধি  : দীর্ঘদিন ধরে সড়কের ধারে একাকী পড়ে আছে মনিকা নামের এক মা। জরাজীর্ণ শরীরে নেই কোন বলশক্তি। শীতার্ত আবহাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে জবুথবু হয়ে শুয়ে থাকা মনিকার গায়ে নেই কোনো গরম কাপড়। 

খাবারের নির্দিষ্ট কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনাহারে থাকে অধিকাংশ সময়। 

কেউ কোনো খাবার দিলে তা একটু খেয়ে একটু বাঁচিয়ে রাখেন তিনি। খাবার না থাকলে কখনো না খেয়ে কখনো খালে বিলে কিংবা ডোবা জলাশয় থেকে ছোট ছোট কাঁকড়াও খেতে দেখা যায় তাকে। 

বলছিলাম যশোরের শার্শা উপজেলার এক বৃদ্ধ মায়ের কথা। বেনাপোল বাইপাস সড়ক বেয়ে কিছুদূর এগিয়ে গেলে চোখে পড়বে এই বৃদ্ধ মাকে। এলাকাটি ভবারবেড়ের শেষাংশে পড়েছে। সড়কের দুই ধারের আবাদি জমির বুক চিরে বয়ে যাওয়া সড়কটির খুব কাছেই মনিকা নামের এই মায়ের চাহনি ঠিকঠাক দেখেনি কেউ। 

সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেনি কেউ। দিগন্তজোড়া মাঠ প্রান্তে অপলোক চেয়ে থাকা মায়ের নির্বাক চাহনি কারো মন না কাড়লেও থমকে গেছে ১৪ বছরের মাহামুদুল্লাহ নামে এক যুবক। সহায় সম্বলহারা গৃহহীন এই মমতাময়ী নারীর অসহায়ত্বের একটি ছবি শেয়ার করে শার্শার কৃতি সন্তান দেশ সেরা উদ্ভাবক মিজানুর রহমানের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে। 

যেখানে দেখতে পাওয়া যায় মনিকা রানী  কাঁকড়া ধরে একটি পাত্রে সেগুলি আগুনে পুড়িয়ে খাচ্ছে। উদ্ভাবক মিজানের সাথে মাহামুদুল্লার ফেসবুকে এ্যাড থাকলেও চেনাজানা নাই একে অপরের সাথে। 

একটি পোষ্টে পরিচয়, তারপর মিজানকে নিয়ে গেলো সেই বৃদ্ধ মায়ের কাছে। উদ্ভাবক মিজান বৃদ্ধ মাকে দেখতে সাথে নিয়ে গেলেন রান্না করা খাবার, কিছু শুকনা খাবার এবং শীত নিবারনের জন্য কম্বল। 

শুধু তাই নয়, নিজ হাতে মনিকা রানীকে খাবার খাওয়ায়ে দিলেন তিনি। বৃদ্ধ অসহায় এই মাকে একটু ভাল ভাবে রাখা এবং আজীবন খাবার খাওয়ানোর জন্য আশ্বস্ত করেন মিজান। এসময় মিজান ওই মাকে খাওয়ানোর সময় তার অসহায়ত্বের কথা ভেবে আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।  

উদ্ভাবক মিজান এসময় বলেন, মনিকা রানী নামের এই বৃদ্ধ মা দীর্ঘ তিন থেকে চার মাস যাবত এভাবে রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নিচে একাকি রাত্রি যাপন করে আসছে। এতোদিনে আমার নজরে আসেনি। 

আজ যখন নিজের চোখে এসে তাকে দেখলাম আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না। 

আজ থেকে তার সমস্ত দেখভাল আমার। আমি ধন্য তার মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দিতে পেরেছি। সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিদের কাছে জোরদাবি জানাচ্ছি। 

সকলে যেন এমন মানুষদেরকে খুঁজে খুঁজে বের করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তার জন্য মানবিক আবেদন করছি। এসময় উদ্ভাবক মিজানের সাথে ছিলেন নাভারণ ফ্রি খাবার বাড়ির পরিচালক বাদল হোসেন, তরুণ সমাজ সেবক কিশোর মাহামুদুল্লাহ এবং সাংবাদিক জসিম উদ্দিন সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

 



নিজস্ব প্রতিবেদক

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়ায় ৩৭৫ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি প্রাইভেটকার সহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যরা। 


(১৩ ই জানুয়ারি) বুধবার রাত্র ১১.২০ মিনিটে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র এলাকাধীন উপজেলার জামতলা টু বালুন্ডা  পাঁকা রাস্তার উপর থেকে সবুজ হাসানকে ৩৭৫ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি প্রাইভেটকার সহ আটক করা হয়। 


আটককৃত মাদক পাচারকারী ঝিকরগাছা থানার সোনাকুড় ময়রাপাড়া গ্রামের তবিবুর রহমানের ছেলে।


এই বিষয়ে নাভারণ সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন মুজিব বর্ষ কে সামনে রেখে আইজীপি মহোদয় যে নির্দেশনা আছে যে জনগণের পুলিশ হতে আমাদের আইজীবি মহোদয় নির্দেশনা দিয়েছে দ্বিতীয় নির্দেশনা হচ্ছে মাদক নির্মূল করা সেই মাদক নির্মূল করার লক্ষ্যে একটি শার্শা থানার পুলিশ আইজিপি মহোদয় নির্দেশে এবং যশোর জেলার পুলিশ সার্বিক নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

 




ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার যাত্রা শুরু ২০০০ সালে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভাটির আয়তন ১৩ বর্গকিলোমিটার। এখানে ৭০ হাজার ৫৭২ জন লোকের বাস। মোট ভোটার ২৫ হাজার ৩২৬। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ হাজার ৯০৭ জন। নারী ভোটার ১১ হাজার ৪১৯ জন।


২০১১ সালে পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। বর্তমানে মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক খাঁন। 


গত  ২০১৫ সনের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিএনপির প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় বারের জন্য মেয়র নির্বাচিত হন ওমর ফারুক খাঁন। দায়িত্ব নিয়ে তিনি রাস্তাঘাট নির্মাণ ও সংস্কার, সড়ক বাতি স্থাপন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুতের সাবস্টেশন স্থাপনসহ উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছেন। তারপরও রয়ে গেছে অনেক সমস্যা।


সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। জ্যেষ্ঠ নাগরিক ও শিশুদের জন্য বিনোদনের পার্ক নেই।

অপরিকল্পিতভাবে দোকান ও বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। কাঁচাবাজারের পরিবেশ নোংরা। মাদকাসক্ত ও বখাটেদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। অর্থাৎ একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার তা এখানে নেই।


এসব অভিযোগের জবাব ও নিজের সফলতার কথায় ওমর ফারুক খাঁন  বলেন, ‘পৌরসভার সব রাস্তা সংস্কার ও পাকা করেছি। জিরো পয়েন্ট থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। সব সড়কে বাতির ব্যবস্থা করেছি। ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছি।


 কৃষ্ণরামপুরে ৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে বিদ্যুতের সাবস্টেশন স্থাপন করেছি। জনস্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সুপেয় পানির ব্যবস্থার জন্য ওয়েস্ট রি-সাইক্লিন ওয়াটার প্রজেক্টের জন্য ৪৪ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছি। দাগনভূঞা মানুষের  দুঃখ দাদনা খাল জবরদখলমুক্ত ও সংস্কার করেছি। 



উপজেলা চত্বরে বিজয় স্তম্ভ, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছি। পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। পৌর এলাকায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয় নতুন ভবন, ইকবাল মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ ও আতাতুর্ক মডেল উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করণে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছি।


পৌর মার্কেট নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে সভা-সমাবেশ করছি। মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে পৌরবাসীকে রক্ষা করতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে। ছাত্রীরা যাতে নিশ্চিন্তে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ থেকে নিরাপদে বাড়ী ফিরতে পারে তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছি।


আশা করছি আগামী নির্বাচনে নির্বাচিত হলে মাদকমুক্ত পৌরসভা উপহার দিতে পারব। 

বিনোদন পার্ক না থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভাষা শহীদ সালাম নগরের পাশে সাড়ে ৮ একর জায়গা নিয়ে শহীদ সালামের নামে শিশুপার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। জায়গা অধিগ্রহণের পদক্ষেপও নিয়েছিলাম। 


তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে পার্ক নির্মাণ করতে পারিনি। তবে হাল ছাড়িনি। পার্ক নির্মাণ করব।’ পৌরসভায় ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘এ অভিযোগ সঠিক নয়।


 একটি মহল আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে চা-দোকানে সস্তা অভিযোগ করছে। বাস্তবতার সঙ্গে এর মিল নেই।  পৌরসভায় দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা হয়েছে। সবকিছুই এখানে নিয়মমতো হয়।’


তিনি বলেন, ‘পৌরশহরের জিরো পয়েন্টে অত্যাধুনিক মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু অশুভ শক্তি ওই জায়গা নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় মসজিদটি নির্মাণ করতে পারছি না। পৌর এলাকায় গো-জবাইয়ের স্থান, আরও একটি পৌর মার্কেট নির্মাণ এবং সড়কগুলো প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।


 এছাড়া ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, দাদনার খাল খনন করে লেকে রূপান্তর, যানজট নিরসনে সড়কে ডিভাইডার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।’


মেয়র ওমর ফারুক খাঁন আরো বলেন, ‘পৌরবাসীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নে কয়েকটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। 


এছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে শহরে জলাবদ্ধতা থাকবে না।  অত্যাধুনিক ও মডেল পৌরসভা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান  নিয়ে কাজ করে যাব।


পৌর এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মানুষ একটি সমৃদ্ধ শহর পাবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের দল। জনগণের কল্যাণে কিভাবে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হয় তা আওয়ামী লীগ থেকে শিখেছি। পৌরবাসী যাতে তাদের কাঙ্খিত সেবা পায়, সেজন্য মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছি। আগামী ১৬ তারিখ নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে সে মোতাবেক কাজ করে যাব।

  সোনারগাঁয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা



নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের নেতৃত্বে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

রোববার (১০ জানুয়ারি) সোনারগাঁও পৌরসভা এলাকার উদ্ধবগঞ্জ বাজারে দিবসটি পালন উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনসহ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সোনারগাঁও পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, প্রধান বক্তা হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোনারগাঁ উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁ পৌরসভা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক গাজী আমজাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক মিয়া, মোঃ সেলিম ভুইয়া, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান, নাসরিন সুলতানা ঝরা, ছগির আহমেদ, এডভোকেট ফজলে রাব্বি, আওয়ামী মটর চালক লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম রবিন সহ, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


শিবগঞ্জে প্রতিবন্ধী নারীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ অতঃপর অন্তঃসত্তা

শেখর চন্দ্র সরকার শিবগঞ্জ বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার শিবগঞ্জের এক বিধবা প্রতিবন্ধী (২৫) নারীকে এক বখাটে লাগাতার ধর্ষণ করার ফলে ওই প্রতিবন্ধী নারী এখন সাত মাসের অন্তস্বত্বা। আমরা যাদের গ্রামের অভিভাবক ভাবি সেইরকমই ইউপি সদস্য বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে । থানায় অভিযোগ দেওয়ার কারনে ধর্ষীতার বাবা-মাকে লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ওই ধর্ষকসহ এলাকার প্রভাবশালী ইউপি সদস্য!
এই হুমকি-ধামকির ভয়ে ধর্ষিতার পরিবার ভয়ে উৎকন্ঠা'য় জীবন-জীবিকা পার করছেন ধর্ষীতা ও তার বাবা-মা। থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক কে সদর থানার মাটিডালি এলাকা থেকে আটক করেছে।

জানা গেছে, উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের মোঃ বাকি উল্লার ছেলে আফজাল হোসেনের সাথে সাত বছর পূর্বে ওই প্রতিবন্ধী নারীর বিবাহ হয়। বিয়ের সাড়ে ৫ বছরের মধ্যে তাদের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম  নেয়। সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করলেও গত ডের বছর পূর্বে হঠাৎ করেই মারা যায় ওই প্রতিবন্ধীর স্বামী আফজাল হোসেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর হতেই  ওই প্রতিবন্ধী নারী দু’সন্তানকে নিয়ে স্বামীর ঘরেই অবস্থান করছিলো। মানুষের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে, ভিক্ষা করে সন্তানদের নিয়ে কষ্ট করে দিন পাত করছিলো ওই প্রতিবন্ধী । হঠাৎ তার উপর কুনজর পড়ে এলাকার ঘর জামাই বাদল মিয়ার। এর আগেও বাদল একাধিক বিয়ে করেছে । বাদল গাইবান্ধা জেলার গবিন্দগঞ্জ উপজেলার বাসাপাড়া গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। বাদলের বর্তমান স্ত্রী বগুড়া শহরে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঝি-এর কাজ করে। স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় একাই থাকতো বাদল। মাঝে মধ্যে সে বিধবা প্রতিবন্ধী নারী বাড়িতে যাতায়াত করতো। লম্পট বাদলের কুনজর থেকে রক্ষা পেলোনা বিধবা প্রতিবন্ধী নারী। সে ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রায় ধর্ষণ করতো প্রতিবন্ধী ওই নারীকে । লাগাতার ধর্ষণের ফলে প্রতিবন্ধী নারী অন্তস্বত্বা হয়ে পড়লে ভয় পেয়ে যায় লম্পট বাদল। ভয়ে আশ্রয় নেয় গনকপাড়া গ্রামের মোঃ বিষা মিয়ার ছেলে এলাকার প্রভাশালী ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামের কাছে। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ইউপি সদস্য জাহিদুল ওই প্রতিবন্ধী কে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এলাকার কেও জানার আগেই বাদলের বাড়িতে রেখে দেয়। তাদের ধারনা ছিলো এক সময় বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেলবে। বাদলের বাড়িতে রোখছানাকে রেখে দেওয়ার ফলে ও বাদলের স্ত্রী না থাকার কারনে আবারো বাদল প্রতিনিয়তই ধর্ষণ করতো তাকে। আজ কাল করে প্রতিবন্ধীর  পেটের বাচ্চাটা নষ্ট করতে পারেনি বাদল।  প্রতিবন্ধী নারীর গর্ভের সময় বাড়তে থাকলে তার চেহারায় পরিবর্তন আসার ফলে সন্দেহ হয় এলাকার সাধারণ মানুষের। কৌতুহলি নিকট জনেরা তাকে ডাক্তারী পরিক্ষা করালে বিষয়টি জানাজানি হয়। ডাক্তারী পরিক্ষায় জানা যায় বিধবা প্রতিবন্ধী নারী সাত মাসের অন্তস্বত্বা। অবস্থা বেগতিক হলে ধর্ষক বাদল আবার আশ্রয় নেয় এলাকার প্রভাশালী ইউপি সদস্য জাহিদুলে কাছে। জাহিদুল ধর্ষককে এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও এলাকার সাধারণ মানুষের তোপের মুখে লোক দেখানো গ্রাম্য শালিসের  আয়োজন করে প্রভাশালী ইউপি সদস্য জাহিদুল। ওই শালিসে জাহিদুলের পুর্বে শিখিয়ে দেওয়া বুদ্ধিতে ধর্ষক বাদল টয়লেটের যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে যায়। গত সাত মাস যাবত  এলাকার ওই প্রভাশালী ইউপি সদস্য জাহিদুল বিষয়টি জানলেও শুধুমাত্র টাকার কাছে বিক্রি হয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আইনগত কোন পদক্ষেপ না নিয়ে এখনো এলাকার সাধারণ মানুষকে নানা ভাবে বিভ্রান্ত করছেন তিনি।

এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী’র মা নূর জাহান বেগম বলেন, আমি থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি অভিযোগ দেওয়া পর হতেই ইউপি সদস্য জাহিদুলসহ অজ্ঞাত কিছু লোকজন আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি ভয়ে বাড়ির বাইরে যাইনা।

এ বিষয়ে প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষনের শিকার  বলেন, বাদল আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়েছে, আমি কাউকে কিছু বল্লে সে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলবে।

বিষটি নিয়ে প্রভাশালী ইউপি সদস্য জাহিদুল বলেন, প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণ করেছে এটা সত্যি। সে বর্তমানে সাত মাসের অন্তস্বত্বা। আমি একটা বিচারের ব্যবস্থা করেছিলাম কিন্তু বিচারের দিন বাদল পালিয়ে গেছে। আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গ আসলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর, ধর্ষককে আটক করা হয়েছে।

শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নায়িকা মিম


ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম নিজ এলাকা রাজশাহীর বাঘায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রীর উদ্যোগে বুধবার (৬ জানুয়ারি) সেখানকার নিম্ন আয়ের প্রায় ৭০০ জন মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।


ফেসবুক স্ট্যাটাসে মিম এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, বাড়ছে শীতের তীব্রতা। সম্বলহীন মানুষগুলো হয়ে গেছে অসহায়। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার উচিত। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী আমার এলাকা রাজশাহীর বাঘায় আজ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলো। ব্যস্ততার জন্য আমি যেতে পারিনি। আয়োজনটি সম্পন্ন করেছেন আমার মামা স্বপন সাহা এবং তাঁর সাথে আরেক মামা প্রশান্ত কুমার। তাদের সাহায্য করেছে হারিস সোহেলের নেতৃত্বে আমার ফ্যান ক্লাবের ভক্তরা। পুরো আয়োজনটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, মামা ও আমার ভক্তসহ সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আশা করি, আগামীতে আরো বেশি বেশি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সৌভাগ্য সৃষ্টিকর্তা আমাকে দেবেন।

  







১৯৭১, তখন আমার বয়স মাত্র চৌদ্দ শেষ করে পনেরোতে পা বাড়িয়েছে। টগবগে কিশোর আমি। পড়তে আর লিখতে ভীষণ ভালো লাগতো আমার। পড়াশোনাটাই ছিল আমার ধ্যান জ্ঞান। 


হঠাৎ একদিন চারিদিকে কানা ঘুসা শুনা যাচ্ছে। সবাই নাকি বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে! ঘরে ছিল আমার বাবা মা আর অতি আদরের ছোট বোন দিয়া।

 

রাতে বাড়ির সকলে যখন ঘুমে তখন আমি চুপিসারে বাড়ি থেকে বের হয়ে এলাকাটাই একটা চক্কর দিলাম। মুরব্বিদের কথা শুনে গাঁয়ে কাটা দিয়ে উঠলো। 


আমার কি কিছু করার আছে? 


বাড়ি ফিরে এসে অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম। আমিও যুদ্ধে যাব। আমার এ দায়িত্বটা পালন করতেই হবে। রাতের আঁধারে নিঃশব্দে ঘর ছাড়লাম। মুক্তি যুদ্ধের প্রয়োজনে যখন যেখানে যেতে হয় অবলিলায় চলে যাই।  রাত দিন দুইটাই আমার কাছে শুধু দিনে পরিণত হয়ে গিয়েছে। মৃত্যুর ভয় আমাকে পিছু হটাতে পারেনি। 

 

একদিন গভীর রাতে কান্নার শব্দে মনের ভেতরটা হঠাৎ মোচড় দিয়ে উঠল। জানিনা, কার কপাল পুঁড়ল? কান্নার শব্দ শোনার পর থেকে আমার দু'চোখের পাতা এক হয়নি। বাড়ির সবাইকে একটু দেখার জন্যে মন আনচান করছে। তাই সারারাত পায়চারী করে নির্ঘুমে কাটিয়ে দিলাম।  


খুব ভোরে পূব আকাশে সূর্য্যের আলো ফোটার আগেই বাড়িতে গেলাম। সবাই কেমন আছে? দেখতে গিয়ে যা দেখলাম, তার জন্যে আমি মোটেও তৈরী ছিলাম না।


আমি মুক্তি যোদ্ধাদের ক্যাম্পে চলে গিয়েছি বলে। বাড়িতে আমাকে খুঁজতে এসে না পেয়ে জানোয়ারের দল রাজাকার বাহিনী আমার আদরের বোন দিয়াকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেয়েছে। অতিরিক্ত পৈশাচিক অত্যাচারে আমার আদরের বোন প্রাণ হারালো। বাবা ওদের মোকাবেলা করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করল। ওরা আমার মা'রেও ছাড়ে নায়। 


মা আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কান্না করছে। আমি তখন মাকে একটি কথাও বলতে পারি নাই। নিরবে  শুধু চোখের পানি দরদরিয়ে ঝরেছে।  মা শুধু আমারে বললো। বাবা, তুই প্রতিশোধ নিবি। রক্তের দামে দেশটারে বাঁচা। মায়ের জন্যে লড়াইয়ে যা বাবা। বেঁচে থাকলে দেখা হবে।


আমি মায়ের দোয়া আর ভালোবাসা নিয়ে ঘর ছেড়েছি। আর ফিরেছি বীরের বেশে মাথা উঁচু করে। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে। বাংলাদেশের মানচিত্র বুকে নিয়ে। মায়ের জন্যে আমি ভালোবাসা এনে দিয়েছি। দেশের জন্যে নিজের ইজ্জত দিতে যাকে বাধ্য করেছিল আমি সেই মায়ের সন্তান। সেই মহতী মানবীকে আমি আমার বুকের জমিনে নির্ভরতার আশ্বাস দিয়ে ভালোবাসা আর মমতার চাদরে জড়িয়ে নিয়েছি। 


ত্রিশ লক্ষ মুক্তি যোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে। লক্ষ লক্ষ মা বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন দেশ। একটি লাল সবুজের পতাকা। একটি মানচিত্র। একটি ভূখণ্ড। পরাধীনতার ভার আগলা করে আজ আমরা ডানা মেলে মুক্ত বিহঙ্গে মতো উড়তে পারছি। 


স্বাধীনতা অর্জন করা যতোটাই না কঠিন ছিল তার চেয়ে বেশি কঠিন তার সন্মান রক্ষা করতে পারা। এ বিজয় ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মদানের বিজয়। এ বিজয় লক্ষ লক্ষ মা বোনদের সম্ভ্রম হারানোর বিজয়। তাই আমরা তাকে আগলে রাখবো সন্মান দিয়ে মর্যাদা ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে। 


আমার সোনার বাংলাদেশ। আমার মা। আমার সর্ব হারা জননী। আমাদের পরম বিশুদ্ধ যত্নে পাওয়া ইতিহাসের বিজয় মাল্য।

  



 মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরু  পূর্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে  প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ হয়েছিল '৭১- এর  ১৯ মার্চ গাজীপুরে। স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পূর্বে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায়  এ প্রতিরোধ যুদ্ধ মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ইতিহাসের স্বার্থে ১৯ মার্চের প্রথম সশস্ত্র  প্রতিরোধের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া  প্রয়োজন । 

আজ ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের  জন্মশতবার্ষিকী ও ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে "ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি" আয়োজিত  আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।  

এসময় পৃথিবীর সকল মুসলিম প্রধান দেশে ভাস্কর্য আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই ভাস্কর্য আছে। গাজীপুরেও প্রথম প্রতিরোধের ভাস্কর্য ১৯৭২ সাল থেকে আছে। সেসব ভাস্কর্য নিয়ে কখনও কেউ  কিছু বলেনি,  কিন্তু জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে তারা কথা বলার ধৃষ্টতা দেখায়। 

বিজয়ের এত বছর পর সাম্প্রদায়িক শক্তির আস্ফালন দুঃখজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী  বলেন,  যারা আজ ধর্মের নাম করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে  এরাই ' ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, '৫৪ ও '৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলা ভাষা, বাঙালি জাতিসত্তা ও বাঙালির  ন্যায়সঙ্গত অধিকারকে  ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাঙালি জাতি এসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোশ  উন্মোচন করে প্রতিহত করবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

সভায় ২০২১  সালে ১৯ মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস  সুবর্ণজয়ন্ত্রী উদযাপন বিষয়ে বিস্তাারিত  আলোচনা হয়।  

সংগঠনের সমন্বয়কারী সাংবাদিক আতাউর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শামসুন নাহার ভুইয়া এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মোজাম্মেল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আনোয়ার হোসেন অধ্যাপক এম.এ.বারী, গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট রীনা পারভীন, সিনিয়র সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য আশরাফ খান ও সাংবাদিক আশিষ সৈকত, সাংবাদিক মোহাম্মদ আল মামুন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আবদুল আলীম মোল্লা, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ আলী চৌধুরী মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা মো.শহীদুল্লাহ , বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. জালাল আহমদ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি এম এ সালাম শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

সভায় নেতৃবৃন্দ  বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ  সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল গাজীপুর থেকে। আবার ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সর্বশেষ যুদ্ধ হয়েছিল এই গাজীপুরের ছয়দানাসহ বিভিন্ন এলাকায়। ৭ মার্চের ভাষণ এবং ১৯ মার্চ সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ এবং যুদ্ধকালীন সময়ে গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহীনির সাথে যে যুদ্ধ হয়েছিল তার ঘটনা পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা উচিত। ১৯ মার্চকে স্বীকৃতি দিলে ইতিহাস তার সঠিক অবস্থানে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ স্বাধীনতার মূল ভাষণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে। ইতিহাসের স্বার্থে ১৯ মার্চে সশস্ত্র  প্রতিরোধের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া  প্রয়োজন ।

  


সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় ক্রমশই বাড়ছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেলায় রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পরই ঠাণ্ডার প্রকোপ বাড়তে থাকে।

আবার মহামারী করোনার কারণে অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসে শীতের আগমন ঘটে। পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মাঝামাঝিতে শীতের প্রকোপ বাড়ে সোনারগাঁয়ে।

এ বছর একটু আগাম শীতের আগাম আগমনে কিছুটা বিপাকে সাধারণ মানুষ। ভোরবেলা কুয়াশাছন্ন থাকছে চারদিক। স্থানীয়রা জানায়, দিনের বেলা বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে।


রাতভর বৃষ্টির মত টুপটুপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। উপজেলায় বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত কারিগররা।


দোকানের সামনে বসে একটার পর একটা লেপ-তোষক বানাচ্ছেন তারা। এদিকে শীত যতই বাড়ছে ততোই সবজির দাম বাজার কমছে।

  



সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি 


দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে আগামীকাল রবিবার থেকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হতে যাচ্ছে সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীবেষ্টিত প্রত্যন্ত চর নুনেরটেক। প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সোনারগাঁয়ের মূল ভূখন্ড থেকে মেঘনা নদীর তলদেশ দিয়ে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ লাইন টানার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামীকাল সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য উপস্থিত থেকে বিদ্যুৎতের উদ্ধোধন করবেন।


জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার  যুগান্তকারী পদক্ষেপে মেঘনা নদীবেষ্টিত উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল নুনেরটেকে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে ।


বর্তমান সরকার ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার অংশ হিসেবে সোনারগাঁয়ে বিদ্যুৎ বঞ্চিত। এ চরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলে জানান সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা।


জানা গেছে, মেঘনা নদীর মধ্যে প্রায় ২০০ বছর আগে জেগে ওঠা এ চরে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার লোকের বসবাস। এখানকার বেশির ভাগ মানুষ মৎস্যজীবী ও কৃষিজীবী। নুনেরটেকবাসী স্বাধীনতার পর থেকেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বিদ্যুতের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।


বারদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের নুনেরটেক দ্বীপটি ছিল বিদ্যুৎবিহীন একটি জনপদ। এখানকার মানুষ বিদ্যুতের জন্য দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে এলেও তাদের এ দাবি পূরণ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বর্তমান সরকার এ প্রত্যন্ত দ্বীপে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।’


সোনারগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক জোনাব আলী জানান, নুনেরটেকে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার জন্য দ্রুতগতিতে কাজ করে এগিয়েছি। ইতিমধ্যে খুঁটি স্থাপনসহ সমগ্র কাজ শেষে আল্লাহ চায়তো আগামীকাল (২০ ডিসেম্বর) মাননীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার হাতে উদ্বোধন হয়ে নুনেরটেক মানুষ বিদ্যুৎতের আলো দেখবে। 


স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ প্রত্যন্ত দ্বীপে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যি প্রশংসনীয়।’ সোনারগাঁয়ে অনেক জনপ্রতিনিধি এসেছেন কিন্তু স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও কোন জনপ্রতিনিধি এই নুনেরটেকে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করতে পারেনি। অবশেষে আমার উদ্যোগে আল্লাহর অশেষ মেহের বানিতে মেঘনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চল নুনেরটেক গ্রামটিতে আগামীকাল বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে। 


আগামীকাল থেকে গ্রামটির ২০ হাজার মানুষ পল্লী বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি সোনারগাঁও বাসীকে এই অভূতপূর্ব স্মরণীয় ক্ষণের স্বাক্ষী হতে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানান।

  



নজরুল ইসলাম তোফা: আবহমান গ্রামবাংলার অনেক চাষীদের শীতকালীন খুবই বৈচিত্র্য পূর্ণ উৎসবের প্রধান উপাদান হলো- ‘'খেজুর রস’'। গ্রামীণ সাধারণ মানুষদের জীবন-জীবিকায় এটিকে মুল হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে। স্বপ্ন ও প্রত্যাশায় অনেকখানি খেজুরগাছের সঙ্গে চাষীদের অঙ্গাঅঙ্গিভাবে বসবাস হয়ে উঠে। নানানভাবে জড়িত চাষীর জীবন সংগ্রামে বহু কষ্টের মাঝেই অনেক প্রাপ্তি যুক্ত হয়। সমগ্র বাংলার জনপ্রিয় তরুবৃক্ষ- খেজুর গাছের সঙ্গেই- ভূমিহীন চাষী, প্রান্তিক চাষী, দারিদ্র ক্লিষ্ট মানুষের জন্য এই সময়টা অনেক আনন্দদায়ক। কারণ, এমন খেজুর গাছই তো চাষীর অন্নদাতা। 

আরো জানা যাক, হেমন্তের শেষেই শীতের ঠান্ডা পরশে গ্রামবাংলার চাষী খেজুরগাছের মিষ্টি রসে নিজেদেরকে ডুবিয়ে নেওয়ার সুন্দর মাধ্যম সৃষ্টি করেন। গ্রাম বাংলার চাষীদের যেন একঘেয়েমির যান্ত্রিকতায় জীবনযাপনের অনেক পরিবর্তন আনে শীতের ঋতুচক্র।‌ এই শীতকালে বৈচিত্র্যপূর্ণ গ্রামীণ সংস্কৃতির মাঝেই যেন ‘খেজুর রসের হরেকরকম পিঠা উৎসব' শুরু হয়। তাযেন এক শৈল্পীক ঐতিহ্যের বহুমুখী সমারোহ বা প্রাণোচ্ছলতায় বারবারই ফিরে আসে।

চাষীরা সৃষ্টি কর্তার সৃজনশীল খেজুর গাছের যত্ন-আত্তি না করলে যেন রস মিলবে না। আর রস না মিললে গুড় হবে কি করে। পাটালি না দেখলে চাষীর যেন ঘুম আসে না। চাষী তাদের মেয়ে বা বউয়ের হাতের কাঁচা সুপারির কচি পান গালে ভরেই বাঁশের ডালি মাথায় করে গঞ্জে ও দূর্বতী হাট বাজারে যাবে কি করে। আর, পাটালি গুড়ের মিষ্টি মধুর গন্ধে তারা বিভোর হয়ে বিক্রয় কর্মে না থাকে তো পেটে ভাতে বাঁচবে কি করে। শীত কালের আমেজে প্রকৃতির মাঝ থেকে সংগীহিত 'মিষ্টি খেজুর রস' চাষীরা চষে বেড়ায় সকালে, বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় মেঠো পথ ধরে। তারই বহিঃ প্রকাশে যেন চমৎকার নান্দনিকতা বা অপরূপ দৃশ্যপটের সৃষ্টি হয, সত্যিই তা যেন শৈল্পীকতার নিদর্শন। শৈল্পীক আস্থা ও বিশ্বাসকে নিয়ে প্রকৃতির সৃষ্টি বিশাল আকৃতির 'কুয়াশাচ্ছান্ন এবং ঝাপসা' পরিবেশের দেখা মিলে, তা যেন চাদরের মতো। চাষী'রা সে চাদরের মধ্যেই নিজের 'চাদরের মুড়ি' দেয়। প্রয়োজনের তাগিদে সামান্য কষ্ট তাদের গায়ে লাগে না। এই শীতে কালে রূপ সৌন্দর্যের আরও একটি উপাদেয় সামগ্রী খাঁটি সরিষার তেল। যা তারা শরীরে মালিশ করে অনেকাংশেই ত্বকের মশ্রিণতা এবং ঠান্ডা দূর করে খেজুর গাছে উঠতে।

গ্রামাঞ্চলের চাষীরা ভোরবেলায় খেজুরগাছ হতে রসের হাড়ি নামিয়ে আনতে ব্যস্ত হন। রাতের এ হিমশীতল রস ভোরে হাড় কাঁপানি ঠান্ডায় গাছ থেকে নামিয়ে খাওয়ার যে স্বাদ তা একেবারেই আলাদা মাত্রা সৃষ্টি করে। ভোরে এই খেজুর রস খেলে শীত যেন শরীরে আরও জাঁকিয়ে বসে। তাদের কাছে এ শীতে শরীর কাঁপানি এক স্পন্দন চরম মজা দায়ক মনে হয়। শীত লাগে লাগুক না, তবুও রস খাওয়ার কোন বিরাম নেই। তারা এক গ্লাস, দু' গ্লাস খাওয়ার পরপর কাঁপতে কাঁপতেই যেন আরো এক গ্লাস মুড়ি মিশিয়ে মুখে তুলে চুমক দেয়া, আর রোদ পোহানো সে কি আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা দূরহ। শীতের কুয়াশা ঢাকা সকালে গ্রামের ছেলে মেয়েরা ঘুম হতে খুব ভোরে উঠে হাত মুখ ধুয়ে খড় কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে হাত পা গরম করে। আর অপেক্ষায় থাকে কখন সকালের তীব্র বা মিষ্টি রোদের প্রখরতা আরও তীব্র হবে। তাদের রোদ পোহানোর আরামের সাথে সাথে আরো অপেক্ষা থাকে, তা হলো তাদের প্রিয় 'খেঁজুর রস'। কখন যে আসে আর তখনই খাবে। সেই 'রস' আসলে যথা সময়ে হাজির হলে তাদের কাছে যেন আনন্দ উল্লাসের কোনোই কমতি হয় না। গ্রামাঞ্চলের খুব অভাবী মেয়েরা রংবেরংয়ের যেসব খেজুর পাতায় খেজুর পাটি তৈরী করে তার উপরই যেন চলে রস খাওয়ার আসর। উপার্যনের জন্য খেজুর পাতা শুকিয়ে তা দিয়েই নকশা খচিত খেজুর পাটি তৈরী পরে আর তা বিক্রি করে তাদের সংসারে কিছুটা হলেও অর্থ সংকোলান হয়। সুতরাং, এই খেজুরের পাটিতেই গ্রামের অনেক পরিবার ঘুমানো কাজে ব্যবহার করে। এ খেজুর পাতায় এক ধরনের 'সাহেবী টুপি'ও তৈরি হয়। খেজুরের পাতা, ডাল এবং গাছ শুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। আর মোরুব্বা তৈরিতেও এই খেজুর কাটার ব্যবহার প্রচলিত আছে। এককথায় বলা চলে যে খেজুর গাছের পাতার ও ডাল সেতো কবর পর্যন্ত চলে যায়।

খেজুর গাছ ছয় সাত বছর বয়স থেকে রস দেওয়া শুরু করে। ২৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত "রস" দেয়। গাছ পুরনো হয়ে গেলে রস কমে যায়। আবার অনেক পুরনো খেজুর গাছের রস অনেক মিষ্টি হয়। জানা যায় যে, 'মাঝ বয়সী গাছ থেকে সবচেয়ে বেশি রস পাওয়া যায়'। বেশি বেশি রস সংগ্রহ করাও গাছের জন্য অবার অনেক ক্ষতিকর। রস সংগ্রহের জন্য কার্তিক মাসে খেজুর গাছ কাটা শুরু হয়। কার্তিক মাস থেকেই 'রস' পাওয়া যায়। রসের ধারা চলতে থাকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত। শীতের সঙ্গে রস ঝরার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। শীত যতো বেশি পড়ে ততোই যেন বেশি রস ঝরে। রসের স্বাদও তত মিষ্টি হবে। অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ মাস হলো রসের ভর মৌসুম। অগ্রহায়ণ হতে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত একটি খেজুর গাছে মাসে '৪০ কেজি' রস পাওয়া যেতে পাবে। খেজুরগাছ শুধু রস দিয়ে ক্ষান্ত হয় না। শুকনো খেজুরের "ভেষজ গুন" অনেক রয়েছে। আর খেজুরের বীজ গুলি বাহির করে নিয়ে দুধে খেজুর গুলো মিশিয়ে ভালভাবে ফুটিয়ে গরম করে এমন দুধ ও খেজুর গুলো ঠান্ডা করে শিশুকে খাওয়ালে শক্তি বাড়ে৷ একটি শুকনো খেজুর ফলের পুষ্টি মান প্রায়,- ৭৫-৮০% শর্করা, ২% আমিষ এবং প্রায়- ২.৫% স্নেহজাতীয় পদার্থ থাকে। খেজুরের ১০০ গ্রাম শাঁসে ২০ ভাগ পানি, ৬০-৬৫ ভাগ শর্করা, ২ ভাগ আমিষ, আর খুবই সামান্য পরিমাণ  কপার, সালফার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন- এ, বি-১, বা বি-২ কিংবা খনিজ লবণ খোঁজে পাওয়া যায়।

চাষীরা দিনের বেশির ভাগ সময় কাটান এগাছে হতে সে গাছে। মাটিতে পা ফেলার ফুরসতটুকুও পায় না অভাবী এই মানুষগুলো। শীত আসা মাত্রই খেজুর গাছ ‘তোলার জন্য’ অনেক আগে থেকেই সকাল-সন্ধ্যা পরিশ্রম করে। খেজুর গাছ বিশেষ কায়দায় কাটতে হয়। আর এই গাছ গুলো কাটে যারা তাদেরকে ‘গাছি’ বলা হয়। তারা নানা উপকরণ সমন্বয়ে গাছি নাম ধারি মানুষ পরিচ্ছন্ন ভাবেই গাছ কাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে যান। গাছগুলো কাটতে যেন ব্যবহার করেন দা, দড়ি, একটুকরো চামড়া এবং পুরনো বস্তা আবার দা রাখার জন্য বাঁশ দিয়ে তৈরি থলি কিংবা ঝাঁপি। সে ঝাঁপি গাছিরা রশি দিয়ে খুব যত্নে দা রেখে এ গাছ হতে সে গাছে উঠা, নামা করে সুবিধা পায়। আবার কোমরে বেশ কিছু চামড়া বা বস্তা বেঁধে নেয়, যেন গাছে উঠা নামাতে কোন প্রকার সমস্যা না। গাছ কাটার জন্যে 'গাছি' শরীরের ভারসাম্য রক্ষার সময়েই কোমর বরাবর গাছের সাথে দড়ি বেঁধে নেয়। দড়িটা বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়। এ দড়ির দুমাথায় বিশেষ কায়দায় গিট দেওয়া থাকে। গাছে উঠার সময়ে 'গাছিরা' অতি সহজে মুহূর্তের মধ্যে গিঁট দুটি জুড়ে দিয়ে নিজের নিরাপদ জন্যেই গাছে উঠার ব্যবস্থা করে নেয়।

রস জ্বাল দিতে যে পরিমাণ জ্বালানির প্রয়োজন হয়, তা পাওয়া যায় না। এমন আক্ষেপে চাষীদের বউ'রা ঝগড়া করলেও চালের আটায় তৈরি ভাপা পিঠা খেজুরের গাঢ় রসে ভিজিয়ে খাওয়ার পরপরই যেন সব রাগ মাটি হয়ে যায়। আবার কখনও সখনও চাষীর বউকে এক প্রকার সান্তনা দিয়ে বলে, অভাবের সংসারে যা আছে তা দিয়ে এই পেশা চালাতে হবে, না হলে বাঁচবো কি করে। বছরে ৫ মাস ধরেই তো খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করা হয় আর তার খড়কুটার জ্বালানিতেই 'গুড়' বানিয়ে বাজারে বিক্রি হয়। 'বউ' আবার মুচকি হাসি দিয়েই বলে, সংসার যা চলছে তা তো একরকম ভালোই কিন্তু মেয়ের বিয়ের জন্যে ভাবনা-চিন্তা আছে। তার তো বয়স হয়েছে,- বিয়ে না দিলে হবে। এ কথাও চলে আসে খেজুর গাছির ছোট্ট পরিবারে। চাষীদের এমন পারিবারিক খেয়ালও রাখতে হয় খেজুর গাছের বসকে ঘিরে। তবে আরও পরিশ্রম বা কষ্ট করার দরকার পড়ে। এক চাষী বলেই বসে সামনের শীতে ইচ্ছা আছে,- আরো কিছু খেজুর গাছ বর্গা নিলেই মেয়ের বিয়ের কিছু টাকা হাতে আসবে। এই কথা গুলো সচরাচর শুনা না গেলেও এক চাষীর কন্ঠে বেজে ওঠে। চাষীরা আদরের বিবাহিত মেয়েদের জামাইকে দাওয়াত দিয়ে "খেজুর রসের সুস্বাদু পিঠা পায়েস" তৈরীর বিভিন্ন আয়োজনের কথা এখানে না আনলেই নয়। শীতকালীন গ্রাম বাংলায় খেজুর রসের সুস্বাদু পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয় পাশা পাশি ঘরে ঘরেও জামাই মেয়েদের নিয়েই যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক দৃঢ় করে। চাষীদের ''মেয়ে এবং বউ ঝিয়েরা কনকনে শীতে গীত গেয়ে খেজুরের রস বা গুড় তৈরি করে। আবার মেয়ে জামাইকে কাছে পেয়ে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকাল, বিকাল বা সন্ধ্যার মনোরম পরিবেশ উপভোগের পাশা পাশি পিঠা তৈরি করে। এ যেন একটি চমৎকার দৃশ্যপট যাকে শৈল্পিক উপাখ্যান বললেও ভুল হবে না।

শীতের সকালে 'রস বা পাটালি গুড়' তৈরীতে জ্বালানীর পাশে বসে বা মোটা লেপ মুড়ি দিয়ে চিড়া, মুড়ির মোয়া খাওয়ার নানন্দনিক পরিবেশটা যেন গ্রামাঞ্চলের চাষীর  সনাতনী ইতিহাস ঐতিহ্য। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সহ মেয়ে জামাই 'মজার মজার গল্পে মশগুল' থাকে। শীত কালীন উপাদেয় খাবার খেজুরের রস সংগ্রহে- ব্যস্ত চাষীরাও এ গাছ হতে ওগাছে খেজুর রস সংগ্রহে শীত কাঁপানি কন্ঠে  গান ধরে। রস জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের গুড় এবং সেই গুড় গুলো মুলত পাটালি গুড় ও ঝোলা গুড়। এসব গুড়গুলো বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়। শীতের খেজুর গাছের রস থেকে যে গুড় তৈরি তা দিয়েই- "দুধের পিঠা, পুলি পিঠা, সেম পিঠা" আরো কত কিযে পিঠা তৈরী হয় তা না খেলে একে বারে জীবনই বৃথা। পাটালি গুড় দিয়ে মুড়ির মোয়া খাওয়া ও ঝোলা গুড়ের সঙ্গে মচমচে মুড়ি খাওয়ার পরিবেশ শুধুমাত্র গ্রামাঞ্চলের মানুষদের কাছে গেলেই দেখা যাবে। এমনিতেই তারা খেজুর গুড় গ্রামের অনেকেই খায়। তবে শীত কালের 'খেজুর রসের' বিভিন্ন তৈরিকৃত রসেরপিঠার স্বাদ ভুলা যায় না। খেজুর রসের গুড় থেকে যে প্রচলিত সন্দেশ হয় তার স্বাদ অপূর্ব। শখ করে অনেক চাষিরা 'চা' খাওয়ার নেশায় ঘরে ঘরেই 'চা' বানিয়ে এই খেজুর গুড়কে উপজীব্য করে নেয়।

শীত তার বিচিত্র রূপ বৈচিত্র্য এবং রস নিয়ে হাজির হয় গ্রাম বাংলায়। নবান্ন উৎসব কিংবা শীতের পিঠা পায়েশ তৈরির 'উৎসবটা' শীতে ঘটা করেই হয়। শীতের চিরায়ত যা কিছু সৃষ্টি কিংবা নিয়ামত, তা উপলব্ধি করতে চাইলে অবশ্য গ্রামে যেতে হবে। আজো গ্রামাঞ্চলে শীত কালীন উৎসবের পাশা পাশি কোনো কোনো ক্ষেত্রেও নিরবতার অস্তিত্ব বড়ই আনন্দদায়ক। বাংলাদেশের 'গ্রাম' সৌন্দর্য মন্ডিত ষড়ঋতুর ছোঁয়ায় শীত কাল এক ঐতিহ্য হিসেবে প্রতিয়মান হয়েছে এই খেজুর গাছ। তাই আশ্বিনের শুরু থেকেই চাষীরা খেজুর গাছ তোলা এবং পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই উপযুক্ত সময় তারা নির্ধারণ করে মাঘের ‘বাঘা শীতে’ গুড় বিক্রিয় এবং তৈরীর প্রক্রিয়া যেন শেষ হয়। তাদের প্রক্রিয়াজাত 'খেজুর গুড়, পাটালি এবং রস সারা বছর সংগ্রহ করে রাখে,' কোন কোন গ্রামের গৃহস্থ পরিবার অন্যান্য ঋতুতেই ব্যবহার করে। গ্রামের বাজার গুলোতেও জমজমাট হয়ে ওঠে খেজুর রস এবং গুড়ে। প্রকৃত পক্ষেই শীতে উৎসব মুখর হয়ে উঠে গ্রাম বাংলা। জলাভূমি কিংবা কিছু পাহাড়ি ভূমি বাদে এদেশের এমন কোনো অঞ্চল নেই, যেখানে খেজুর গাছ জন্মে না। তবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমা অঞ্চলে 'খেজুর গুড়' বাণিজ্যিক ভাবেই উৎপাদিত হয়।

খেজুরগাছ কাটার জন্য গাছের মাথার এক দিকের যেন শাখা কেটে চেঁছে পরিষ্কার করে সেই কাটা অংশের নিচ বরাবর দু'টি খাঁজ কাটার প্রয়োজন মনে করে। সে খাঁজ থেকে কয়েক ইঞ্চি নিচেই একটি সরু পথ বের করা হয়। এই সরু পথের নিচে বাঁশের তৈরি নলী বসানো হয়। এই নলী বেয়ে 'হাড়িতে রস' পড়ে। নলীর পাশে বাঁশের তৈরি খিল বসানো হয়। সেই খিলেই মাটির হাড়ি টাঙিয়ে রাখে এবং বিকেল বেলা থেকে "হাড়িতে রস জমা" হতে হতেই সারা রাতে হাড়ি গুলো পরিপূর্ণ হয়। নতুন গাছগুলোকে কাটার পর 'দুই তিন দিন রস' পাওয়া যায়। প্রথম দিনের রসকে বলে জিরান কাট। জিরান কাট রস খুবই সুস্বাদু। ১ম দিনের রস থেকে ভালো পাটালি গুড় তৈরি হয়। ২য় দিনের রসকে বলে দোকাট। তৃতীয় দিনের রসকেই বলে তেকাট। রসের জন্যে খেজুর গাছে একবার কাটার পরে আবারও পাঁচছয় দিন পর কাটতে হয়। গাছের সে কাটা অংশ শুকানোর জন্যে সময় দেয়া প্রয়োজন পড়ে। আর খেজুর গাছ কাটা অংশটা শুকানোর সুবিধার জন্য যেন সাধারণত পূর্ব এবং পশ্চিম দিক করে গাছ গুলো কাটা হয়। যাতে সূর্যের আলো সরাসরি কাটা অংশে পড়ে।

গাছ থেকে রস সংগ্রহের জন্য মাটির হাড়ি ব্যবহার করা হয়। হাড়িকে আবার অনেকেই বলে ভাঁড়। ঠিলা হিসেবে কেউ কেউ হাড়িটার নামকরণ ব্যবহার করে। সুতরাং, এ  ভাঁড় সম্পর্কে যা বলতে চাই, তা হলো- হাড়িটি আসলেই খুবই ছোট আকৃতির একটি কলসের মতো। এই হাড়িটি থেকে ১০ কিংবা ১৫টি হাড়ির রস জ্বাল দিয়ে এক ভাঁড় গুড় হয়। সেই ১ ভাঁড় গুড়ের ওজন- ৬ থেকে ৮ কেজির মতো বলা চলে। গুড় তৈরির জন্য রস জ্বাল দেওয়া হয় মাটির জালায় বা টিনের তাপালে। সূর্যোদয়ের আগে বা খুব সকালেই- "রস নামিয়ে" এনে টিনের তাপালে উপরে জ্বালানি দিতে হয়। জ্বাল দিতে দিতেই একসময় রস ঘন হয়ে গুড় হয়ে যায়। এ গুড়ের কিছু অংশ তাপালের এক পাশে নিয়ে বিশেষ ভাবে তৈরি একটি খেজুর ডাল দিয়ে ঘষতে হয়। আর তা ঘষতে ঘষতেই সেই রসের অংশটুকু শক্ত হয়ে যায়। আর 'শক্ত অংশকেই' কেউ কেউ আবার বীজ বলে থাকে। সে বীজের সঙ্গেই তাপালের আরো যা বাকি গুড় গুলি থাকে সেগুলো মিশিয়ে যেন অল্পক্ষণের মধ্যে গুড় জমাট বাঁধতে শুরু করে। তখন এ গুড় মাটির হাড়ি বা বিভিন্ন আকৃতির পাত্রে রাখার প্রয়োজন পড়ে। সে গুড় গুলি দেখলে বুঝা যাবে, একেবারে জমাট বেঁধে পাত্রের আকৃতি ধারণ করেছে।
 
এদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বহু কাল ধরেই পেশাদার খেজুর গাছ কাটিয়ে আছে। স্থানীয় ভাষাতে এদের বলা হয় গাছি। কার্তিক মাসের শুরু থেকে চৈত্রের শেষ পর্যন্ত তারা খেজুর গাছগুলো কাটায় নিয়োজিত থাকে। যেসব চাষীদের স্বল্পসংখ্যক খেজুরগাছ আছে তাকে নিজেরাই কাটে। তারা রস পাড়ে ও বাড়িতে নিয়ে এসে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করে। শীতের প্রকোপ যতো বেশি হবে, রসও ততো বেশি রসও পাবে। রস গাছে যখন কমে যায়, ঠিক তখন সেই রসের স্বাদ যেন বেশী হয়। এ রসকে ‘জিরান কাট’ রস বলে, গন্ধেও এ 'রস' হয় সবচেয়ে উত্তম। এমন ‘জিরান কাট’ রস নামানোর পর আবারও রসের ভাঁড় ও কলস গাছে টাঙালে তখন এই খেজুরগাছ থেকে যে রস পাওয়া যাবে তা উলাকাটা রস। গ্রাম বাংলায় শীতকালে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে যারাই খেজুর বাগানের চাষ করে তারাই তো প্রকৃত অর্থে 'চাষী'। তারা গভীব রাতে খেজুর রস নামিয়ে উনুনের আগুনে জ্বালাতেই ব্যস্ত হয়। সত্যিই এমন দৃশ্য দেখা যায় খেজুর বাগানের পাশে উঁচু ভিটায়। অন্ধকারে নিবিড় স্তব্ধতার মধ্যেই তারা জীবন সংগ্রামের যে মজার স্পন্দন উপলব্ধি করে তাকে না দেখলেই যেন স্পষ্টরূপে বিবরণ দেওয়া মুসকিল। উনুনের পাশে থাকে গাছি কিংবা শ্রমিক-মজুর, তাদের থাকবার জন্য বানায় কুঁড়ে ঘর, খেজুরের পাতা বা বিচালি দিয়েই ছাওয়া হয়। কান পাতলে শোনা যায়, গাছিয়াদের নিঃসঙ্গতা কাটাতে মিষ্টি মধুর গানের সুর। টানা সুরের গ্রাম্য এলাকার গান- প্রচলিত বিভিন্ন ধরনের গানও গেয়ে থাকে। তাদের সুরে আছে অদ্ভুত প্রাণময়তা ও আবেগ, সহজেই হূদয়ে ছুঁয়ে যাওয়ার মতো।

পত্র বৃন্তে আবৃত খেজুরের কাণ্ডটি সরল, গোলাকৃতি বা ধূসর বর্ণের হয়। মাথায় মুকুটের মতো ছড়ানো যে পাতা গুলো তা উর্ধ্বমুখী আরো ব্যাখ্যায় গেলে বলতে হয় যে,- ছুরির ফলার মতো তীক্ষ্ণ। খেজুরের ‘ভিন্নবাসী’ গাছে স্ত্রী ফুল ও পুরুষ ফুল আলাদাভাবেই গাছে জন্মায়। খেজুর গাছের পুংপুষ্পমঞ্জরী খাটো, ফুল সাদা মোচার মতো বা ঘিয়ে রঙের মতো দেখতে হয়। খেজুর গাছটির পরিপক্ক ফুলের মোচায় ঝাকুনি দিলে ধুলার মতো পুংরেণু বাহির হতে দেখা যায়। আবার, স্ত্রী পুষ্প মঞ্জরী লম্বা বা ফুলের রং হালকা সবুজ হয়ে থাকে। স্ত্রী গাছে 'অজস্র ফল' ধরে থাকে তা অনেক উজ্জ্বল দেখায়। এক মজ্ঞরীতে 'বহু স্ত্রী ফুল' ফোটে, যা থেকে 'একটি কাঁদিও তৈরী' হয়। খেজুর গাছের মাথায় খুব সূচালো অসংখ্য কাঁটার সমন্বয়ে যেন এক ঝোপের মতো সৃষ্টি করে। এইখেজুর গাছের পাতার গোড়ার দিকের প্রত্যেকটা পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয়। সাধারনত এই পাতা তিন মিটার লম্বা এবং নীচের দিকে বিশেষ করে বাঁকানো হয়। খেজুর গাছ সারা বছর একই রকমেই থাকে। পাকা ফল দেখতেই পার্পেল-লাল রঙের এবং তা সুমিষ্ট হয় আর খাওয়াও যায়। পাখিদেরও প্রিয় এটি।

শীত কালে খেজুরের রস সবারই রসনা তৃপ্ত করে। আর খেজুর গাছের মাথার 'কচি অংশটা' খেতে দারুন লাগে। খেজুর গাছ ছয় সাত বছর বয়স থেকে রস দেওয়া শুরু করে। ''২৫ থেকে ৩০ বছর'' পর্যন্ত রস দেয়। গাছ পুরনো হয়ে গেলে রস কমে যায়। পুরনো গাছের "রস" খুব মিষ্টি হয়। মাঝ বয়সী গাছ থেকে সবচে বেশি পরিমাণের 'রস' আসে। বেশি রস সংগ্রহ করা গাছের জন্যেও ক্ষতিকর। রস সংগ্রহের জন্য কার্তিক মাসে খেজুর গাছ কাটা শুরু হয়। কার্তিক মাস থেকেই 'রস' পাওয়া যায়। রসের ধারা চলতে থাকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত। শীতের সঙ্গে রস ঝরার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। শীতটা যতোই বেশি পড়বে ততো তো রস বেশি ঝরবে। রসের স্বাদও ততোই সুমিষ্টি হবে। অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ মাস হলো রসের ভর মৌসুম। এই মৌসুমে একবার গাছগুলো কাটার পর দু'তিন দিন 'রস' পাওয়া যায়। 

এই খেজুর গুড় যারা বানায়, তাদের ঐতিহ্যগত পরিচয় তারা গুড়-শিল্পী কি়ংবা শিউলি। এমন শিউলিরা আদতে খেত মজুর। বর্ষার দিনে অনেক অঞ্চলে চাষাবাদের পর ভূমিহীন খেত মজুরদের কোনও কাজ থাকেনা। সুতরাং অনাহার-অর্ধাহারে তাদের দিন কাটাতে হয়। সেই সময়ে শিউলিরা দাদন নেয় মহাজনের কাছ হতে খেজুর গাছ। বিনিময়ে তারা মহাজনের নির্ধারিত দামে তাদের কাছেই অনেক সময় গুড় বিক্রি করতে বাধ্য হয়। পরিশেষে এই কথা বলতে চাই যে খেজুর গুড় এখন সারা বাংলাদেশে পাওয়া যায়। কিছু জাতের খেজুর গাছগুলিও আরবের মেসোপটেমিয়াই আদি নিদর্শন হিসেবে গণ্য। খেজুর বা খেজুরের বসের জন্মভূমি আরবের সেই মেসোপটেমিয়া আর এ দেশে যেসব খেজুর চাষ হয় তার নাম Phoenix sylvestris। এমন খেজুর গাছের উচ্চতাও- ১০ হতে ১৫ মিটার। গ্রাম বাংলার এ জাতটিকে বুনো জাত হিসেবেও আখ্যায়িত করা হলেও আমাদের বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির মধ্যেই গন্য তাকে দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। 

  



সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁও  উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর এলাকায় অবস্থিত কনকা ইলেকট্রনিক্স  ফ্যাক্টরীতে ভয়াবহ আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডে কয়েক শত কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময়   কয়েক  লক্ষ টাকার মালামাল লুট  হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড ঘটনায় দুুই শ্রমিক আহত হয়েছে। পুলিশ আহত শ্রমিককে উদ্ধার করে হাতপাতালে প্রেরণ করেছে।  এসময় অন্যান্য  শ্ররমিকরা  জানালার কাচ ভেঙ্গে বাহিরে বের হয়েছে বলে জানা যায়। 



লুট হয়া মালামালের একটি  ফ্রীজ ও একটি  সিলিং ফ্যান  উদ্ধার   করেছে পুলিশের উপপরিদর্শক এস আই পংকজ কান্তি সরকার। 


নাম না বলা সর্তে  স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, ছোট  সাদিপুর গ্রামের অজ্ঞাত কয়েকজন  মিলে কনকা কোম্পানির পিছনের বাউন্ডারি টপকে  কয়েক লক্ষ টাকার  মালামাল  লুট করে  নিয়েছ।


স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়,  গতকাল রবিবার      কনকা ইলেকট্রনিক্স ফ্যাক্টরীটিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরন ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ফ্যাক্টরীতে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ফ্যাক্টরীর ভেতরে থাকা শ্রমিকরা জানালা ও মুল ফটক দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসে। এতে ২ শ্রমিক আহত হয়। এদিকে খবর পেয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট   থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। পরে আশপাশের উপজেলা, ডেমরা ও ঢাকার ১২ টি ইউনিট ও মেঘনা ইকোনোমি জোনের ২ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।


ঢাকা ফায়ার স্টেশনের মিডিয়া উয়িং মোঃ রায়হান জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সোনারগাঁও ঢাকাসহ প্রায় ১২টি সরকারী ও ২টি বেসরকারি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে কিভাবে  আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।


সোনারগাঁও  থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আগুনের সূত্রপাত কিভাবে ঘটেছে তা তদন্ত করে  বলা যাবে, মালামাল লুটপাটের ঘটনা আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। 



  




 বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম(বিএমএসএফ)২৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় ৪র্থ কাউন্সিল -২০২০  জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে উক্ত কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছে,ডা.মুহাম্মদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ। ডা.মাজেদ তার বার্তায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান কেন্দ্রীয় মহাসচিব   আহমেদ আবু জাফর ও সভাপতি শহিদুল ইসলাম পাইলট সহ সকল কাউন্সিলরদের যারা আমাকে মফস্বল সাংবাদিকদের বৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)এর কেন্দ্রীয়  ২০২০-২০২২ কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে  মনোনীত করেছেন।
উল্লেখ ডা.মাজেদ বাংলাদেশের বিশিষ্ট হোমিও গবেষক ও জাতীয় দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা স্বাস্থ্য পাতার সম্পাদক, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ'র সম্পাদক, হোমিও বিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র'র কো-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক কল্যাণ সোসাইটির কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক  সহ দায়িত্ব পালন করে আসছে  ।ডা.এম এম মাজেদ বাংলাদেশের সকল জাতীয় দৈনিক বাংলা ইংরেজি পএিকার উপসম্পাদকীয় পাতার নিয়মিত লেখক।

  



সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমানের স্ত্রী নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপির উদ্যোগে সিদ্ধিরগঞ্জে যুবলীগ নেতা  আবদুল মতিনের তত্ত্বাবধানে সিদ্ধিরগঞ্জে ৫ শতাধিক শীতার্ত মানুষের মধ্যে  শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া ঈদ এলাকায় এ কম্বল বিতরণ করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপআলহাজ্মব জিবুর রহমান বিএসসি। নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী যুবলীগ নেতা আবদুল মতিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগের সভাপতি সাহাদাত হোসেন সাজনু, নারায়ণগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হেকিম, সহ দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোঃ আমিনুল ইসলাম রাজু, আওয়ামীলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক আবুল ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য আবদুল মজিদ প্রমুখ।

  

শেখর চন্দ্র সরকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি 


বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নে আমতলী বাজারে আলম এন্ড ব্রাদার্স এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আয়েশা ইলেক্ট্রনিক্স (যমুনা ইলেকট্রনিক্স এসক্লুসিভ ডিলার) এর শো-রুম শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। 


শিবগঞ্জ উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আলম অ্যান্ড ব্রাদার্সের এর আরো একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান আয়েশা ইলেক্ট্রনিক্স শো-রুম এর শুভ উদ্বোধন করেন শিবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ এস.এম বদিউজ্জমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে  প্রতিষ্ঠানটি সর্বাঙ্গীণ উন্নতি ও সাফল্য কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।


এসময় উপস্থিত ছিলেন যমুনা গ্রুপের ডাইরেক্টর ডিজিএম হাসিব, আমতলী নাগর বন্দর শিবগঞ্জ ব্যবসায়ী এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব আমিনুল হক দুদু, মীর সীমান্ত দিগন্ত ফিলিং ষ্টেশনের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর হোসেন, আওয়ামী যুবলীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহীদ, আমতলী নগর-বন্দর শিবগঞ্জ ব্যবসায়ী এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সোহেল রানা, আমতলী বন্দর মসজিদের ইমাম মাও: আলী আকবর, বকুল, হান্নান, শমসের, আলম এন্ড ব্রাদার্স ও আয়েশা ইলেকট্রনিক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী সুমন শেখ শামসুল আলম শেখ, সজীব শেখ ও সোহাগ শেখ প্রমুখ সাইফুল প্রমুখ।

  



মুরাদ মিয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি  

সুরমা নদীর ভাঙ্গন থেকে দোয়ারাবাজার উপজেলা কমপ্লেক্স, ছাতকের নোয়ারাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীবাউর গ্রাম ও দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের মংলারগাও, মাঝেরগাও, মাছিমপুর, মুরাদপুর পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের শতশত স্থাপনা সুরমা নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার দাবীতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের পাকা ব্লক তৈরির কাজের উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের  সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। 
বুধবার সকালে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ১৯১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলার দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার আওতাধীন সুরমা নদীর ডানতীরে অবস্থিত উপজেলা কমপ্লেক্স, লক্ষ্মীবাউর ও বেতুরা এলাকায় নদী সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় সুরমা নদীর ডান তীরে পাকা ব্লক স্থাপন করে সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করা হবে। এছাড়া নদীর পানি প্রবাহ সঠিক পথে পরিচালনার জন্য ১৮ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশিমোহন সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর রহমানসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধোধন শেষে সংসদ সদস্য পাউবো আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন। উল্লেখ্য সুরমা নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে গেল কয়েক বছরে দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ও সরকারি স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।  
সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন স্থাপনা নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাবে।

 শিবগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন,মেশিন ভেঙে গুড়িয়ে দিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত

শেখর চন্দ্র সরকারের বগুড়া জেলা  প্রতিনিধিঃ

অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় মেশিন ভেঙে গুড়িয়ে দেন এবং মাস্ক না পড়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়।

বগুড়ার শিবগঞ্জে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মৌলী মন্ডল রবিবার ২৭ ডিসেম্বর শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার কারনে শিবগঞ্জ  ইউনিয়নের মিল্কিপুর (পাগলা পার),নয়আনা মাঝপাড়া গ্রামের (চকগোপাল) এবং গুজিয়া বন্দরের জিরো পয়েন্টে করতোয়া নদী থেকে মেশিন, পাইপ এবং বালু উত্তোলনের অন্যান্য সরঞ্জামাদি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। কিন্তু বালু উত্তোলনের স্থানে কাউকে না পাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়াও করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলার লক্ষ্যে গুজিয়া বন্দরের সকল ব্যবসায়ীদের ও সাধারণ জণগণকে সচেতনতা মূলক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং মাস্ক পরিধান না করার জন্য এক বেকারী দোকানের মালিক মিজানুর রহমান(৩২), পিতা:জালাল উদ্দিন গ্রাম-মেদেনীপাড়া, গুজিয়া, শিবগঞ্জ, বগুড়াকে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায়,  ৫০০ টাকা সাধারন জরিমানা করেন।

অভিযান পরিচালনাকালে সহযোগিতা করেন এসআই আফজাল হোসেন সহ সঙ্গীয় ফোর্স। এব্যাপারে  সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মৌলি মন্ডল বলেন, অবৈধ বালু মহল ও উত্তোলন ব্যাপারে এবং মাস্ক পরিধানের ক্ষেত্রেও  লাগাতার অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, অবৈধ বালু মহলে যাহাকে পাওয়া যাবে তাকেই আটক করে যথাযথ ব্যস্ততা নেওয়া হবে ।


 আ'লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হলেন কাজী এরতেজা হাসান



 বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির দ্বিতীয়বারের মত সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক ভোরের পাতা’র সম্পাদক ও প্রকাশক, কয়েক বারের নির্বাচিত এফবিসিসিআই পরিচালক এবং ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা প্রেডিডেন্ট ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি।

 
রোববার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
 
ড. কাজী এরতেজা হাসান, সিআইপি এমন একজন মানুষ যিনি হৃদয় দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথেই হাঁটছেন। এছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে করোনা মোকাবেলায় শেখ হাসিনার সারথী হয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করেন।
 
সাতক্ষীরা সদরে সুলতানপুরের কাজীপাড়ায় স্বনামধন্য কাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। দেশ ও মানুষের কল্যাণ সাধনে তরুণ বয়সেই তিনি দৈনিক ভোরের পাতা, দ্য ডেইলি পিপল’স টাইম, পাক্ষিক অর্থপাতা ও ট্রাভেলস অটোমোবাইলস অ্যান্ড হাউজিং পত্রিকাগুলো নিয়ে গড়ে তোলেন ভোরের পাতা গ্রুপ অব কোম্পানিজ। তাঁর মেধা ও সৃজনশীল সম্পাদনাগুণে ইতোমধ্যে চারটি পত্রিকাই পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি একজন সফল সাংবাদিক, সফল সম্পাদক ও সফল তথ্যযোদ্ধাও বটে।
 
তিনি একাধারে মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশন ও রূপান্তর ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারপার্সন, ইরান-বাংলাদেশ চেম্বারের প্রেসিডেন্ট । দীর্ঘদিন থেকে একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে দেশ ও দশের সেবা করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এ জন্যে গণমানুষের পক্ষ থেকে তাঁকে সাহসী কলমসেনা উপাধীতে ভূষিত করা হয়েছে। গত এক দশকে তাঁর প্রজ্ঞাসুলভ ধীমান ও ক্ষুরধার লেখনীতে উন্মোচিত হয়েছে জাতীয় সমস্যার গঠনমূলক সুচিন্তিত দিকনির্দেশনা।
 
নির্ভীক মানবাধিকারকর্মী ড. কাজী এরতেজা হাসান বাংলাদেশের সংবাদপত্র শিল্প, মুক্ত সাংবাদিকতা এবং মানবাধিকার উন্নয়নে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নেলসন ম্যান্ডেলা পদক-২০১৪, মানবাধিকার শাইনিং পারসোনালিটি অ্যাওয়ার্ড-২০১৪, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পদক-২০১০, মহাত্মা গান্ধী অ্যাওয়ার্ড-২০১০, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সম্মাননা-২০১০, অতীশ দীপঙ্কর স্বর্ণপদক-২০০৮, মাদার তেরেসা গোল্ড মেডেল-২০০৭, মওলানা ভাসানী স্মৃতিপদক-২০০৫ সহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
 
ব্যক্তিজীবনে ড. কাজী এরতেজা হাসান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী এবং মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের একজন পতাকাবাহী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মানবিক আদর্শকে নিজের মধ্যে ধারণ করে বর্তমান সরকারের দেওয়া দেশের জনগণের প্রতি অঙ্গীকার, মাটি ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সচিত্র প্রতিবেদন, নিষিদ্ধ ঘোষিত অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক বিনষ্টকারী জঙ্গি সংগঠনের মুখোশ উন্মোচন ও মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে শব্দ সৈনিক হিসেবে সংবাদপত্রে লেখনীর মাধ্যমে দেশ, জাতি ও আপামর জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দিতে দীর্ঘদিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান । এ সব সমাজসেবা মূলক কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পৃথিবীর অনেক দেশে প্রধানমন্ত্রীর সাথে রাষ্ট্রীয় সফরসঙ্গী হওয়ার সুযোগ হয় ড. কাজী এরতেজা হাসানের।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার সততায় অনুপ্রাণীত হয়ে আমি স্বাধীনতার পতাকাবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার আস্থা, আমার ভরসা। তিনি দেশের এক মঙ্গলময়।আমার প্রতি আস্থা রেখে তিনি আমাকে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন আমি তা সফলতার সাথে পালন করবো ইনশাআল্লাহ। আমার উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব আমি যেন সফলতার সাথে পালন করতে পারি এবং মানবতার মা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দেশের অর্থনৈতিক গতিকে আগের মত সচল রাখতে যেন ভূমিকা রাখতে পারি সেজন্য সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন।
 


 সো


নারগাঁয়ে ছাত্রলীগের ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত।


ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সোমবার দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের ভেতরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্যে পুস্পার্ঘ অর্পন, আলোচনা সভা ও কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান রবিন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, জাহিদ হাসান বাবুসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাসহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতারা।
আলোচনা শেষে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমসহ ছাত্রলীগ নেতারা। পরে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি র্যালী বের করা হয়।

 আল-মদিনা শপিং মল কেনাকাটায় দিচ্ছেন,র‍্যাফেল ড্র সহ আকর্ষণীয় পুরস্কার।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবং শীতকালিন ও ঈদ-উল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আল-মদিনা শপিং মল কতৃপক্ষ ক্রেতাদের সঙ্গে আনন্দ উদযাপন করতে কেনাকাটায় দিচ্ছেন আকর্ষণীয় পুরস্কার ও সর্বোচ্চ ছাড়।

সোমবার(০৪ জানুয়ারি ২০২১) দুপরে দোকান মালিকদের হাতে র‍্যাফেল ড্র'এর কুপন তুলে দেন আল-মদিনা শপিং মল'র স্বত্বাধিকারী মাযহারুল ইসলাম নবী।
এ সময় শপিং মলের সকল দোকান মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এখানে, ১ম তলা থেকে ৪র্থ তলা পর্যন্ত সর্বনিন্ম ১০০০(এক হাজার) টাকার কেনাকাটা করলে ক্রেতা পাচ্ছেন নিশ্চিত একটি কুপন যেখানে থাকছে সব আকর্ষণীয় পুরস্কার।
এখানে পাচ্ছেন দেশী-বিদেশী ব্র্যান্ডের নতুন পণ্য,মান সম্মত পর্যাপ্ত পরিমান পণ্যের বিশাল সমাহার
নিজ এবং পরিবারের জন্য উৎসব মুখর পরিবেশে শপিং করতে আগত সবাই নজরকাড়া আলোকসজ্জায় কাটাতে পারবেন আনন্দময় কিছু মুহূর্ত। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত মার্কেট,শান্ত ও মনোরম পরিবেশে ক্রেতারা এখানে উৎসব মুখর কেনাকাটা করতে পারবেন।

১ জানুয়ারি ২০২১ ইং থেকে (রমজানের চাঁদ রাত) ২৮ মে ২০২১ শুক্রবার পর্যন্ত শপিংমলে ক্রেতাদের সমগ্র বিলের ওপর মিলবে সর্বোচ্চ ছাড়। এছাড়াও র‍্যাফেল ড্রতে বিজয়ী ভাগ্যবান গ্রাহকরা পাবেন, স্মার্ট হোন্ডা ১টি,ফ্রিজ ১টি,১টি এলইডি টিভি,স্মার্ট সাইকেল ১টি,ডায়মন্ড নাক ফুল ৫টি,স্মার্ট মোবাইল ৫০টি,আকর্ষণীয় মোবাইল সেট ১০০টি,ডিনার সেট ১০টি,ব্লান্ডার মেশিন ১০টি, রাইস কুকার ৫টি সহ ১০০০(একহাজার)টি পুরস্কার।

এছাড়াও রয়েছে কেনাকাটায় সর্বোচ্চ ছাড় সহ নানা উপহার সামগ্রী।


 

পুলিশ পরিবারের সন্তানদের মানসিক বিকাশে পুনাকের মতবিনিময় সভা



বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) পুলিশ পরিবারের নারী সদস্যদের ক্ষমতায়ন ও তাদের সন্তানদের মানসিক বিকাশ এবং মেধার উন্নয়নে গত তিন দশক ধরে কাজ করে আসছে।

নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পুনাক আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে আয়োজন করেছে পুলিশ পরিবারের ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী সন্তানদের জন্য “এসো শিখি ও মনের কথা বলি” শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার । সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।

পুনাকের বিভিন্ন স্তরের সদস্যাবৃন্দ এবং পুলিশ পরিবারের ৫৯ জন সন্তান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুনাক সভানেত্রী বলেন, আমাদের সন্তানদের মনের দরজা খুলে দিতে আমাদের এ প্রচেষ্টা। পিতা-মাতার পেশা সম্পর্কে সন্তানদের উপলব্ধি কি ও তারা কিভাবে পরিবারকে মূল্যায়ন করে তা তাদেরকে জানানো আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পুনাকের প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা নাসিম আমিন। তিনি বলেন, শিশুদের সঠিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের, বিশেষ করে পিতা-মাতার ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের মানসিক বিকাশে পিতা-মাতার সচেতনতার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

দুই পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে শিশু-কিশোরদের মাঝে সাইবার বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ডিএমপি'র কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহ্ফুজা লিজা। তিনি শিশু-কিশোররা কিভাবে নিজেদের অজান্তে সাইবার স্পেস ঝুঁকিতে পড়ে, এসব ঝুঁকি এড়াতে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম একাউন্টের নিরাপত্তা বিধানে কি করণীয় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।

দ্বিতীয় পর্ব পুলিশ পরিবারের সন্তানদের সাথে পুনাক সভানেত্রীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাইমা নিগার শিশু-কিশোরদের পরিবারে, স্কুলে এবং বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন মনস্তাত্বিক অভিজ্ঞতা ও সমস্যা নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনা ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।


 নৌকা মার্কায় ভোট দিতে মেয়র প্রার্থী ঝরা'র গণসংযোগ


আসন্ন সোনারগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করতে পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেছেন সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরা।

শুক্রবার দিনব্যাপী সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের নোয়াইল, বালুয়া দিঘীরপাড়, গুছাইট ও নয়ামাটি গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে যেয়ে দিন ব্যাপী মানুষের দোয়া ও সমর্থন কামনায় লিফলেট বিতরন করেন।

গণসংযোগ কালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানে ঝরা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখতে সবাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান এবং তিনি যাতে নৌকা প্রতীকে মনোনীত হন সেজন্য সবার দোয়া চান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলাম আসাদ, সহ সভাপতি অপু সারোয়ার, পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌরসভা যুবলীগের সদস্য হারুন জয়, পৌরসভা যুবলীগ নেতা ইকবাল, বাগমুছার রুহুল আমিন, পৌরসভা যুবলীগ নেতা গাজী তোফায়েল, পাপন, রিফাত, ৪ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. উজ্জ্বল, ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি  মো. জসীম, ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক  মজিবুর, ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রউফ, ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ সভাপতি মজিবুর রহমান, যুবলীগ নেতা সুমন, খোরশেদ,সানোয়ার,ফয়সাল, শাহাদাত, জুবায়ের, আল আমিন, পাভেল, তপন, শাহ্ আলী, মহিলা নেত্রী বিনু আক্তার, শারমীন সুলতানা,সাফিয়া নুর শান্তা, তাহমিদা, নওশীন, তামীমি, রুনী। আওয়ামীলীগ নেতা বাচ্চু, দীলিপ, বাতেন, তাহের আলী, শফিউদ্দিন, আলম ভূইয়া, শামীম ভূঁইয়া, মনির, শাজাহান, শাহাজালাল ছাত্রলীগ নেতা -আলমগীর, হাসান, বাবু, রুপক, রমজান, এছাড়াও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামীলীগের কয়েকশত নেতৃকর্মী।


 আলী হোসাইন আলী'র মৃত্যুতে এরফান হোসেন দীপের শোক প্রকাশ।


সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপারা ইউনিয়ন এর কৃতি সন্তান,শান্ত প্রকৃতির রাজনীতিবিদ, সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মোঃ আলী হোসাইন আলী  ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনের সাবেক সাংসদ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম  মোবারক হোসেনের পুত্র এরফান হোসেন দীপ

মরহুমের জানাযা আজ ৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার বাদ যোহর মোগরাপারা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে সাব বাড়ি কবরস্থান সংলগ্ন মাজার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মরহুম  মোঃআলী হোসাইন'কে মাফ করুন, গুনাহ খাতা গুলো নেকিতে রূপান্তরিত করুন, জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।

পরিবারের সদস্যদের ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন-


 ফেনী প্রেস ক্লাব নির্বাচন মিলু সভাপতি, রাজন সাধারণ সম্পাদক ও এ কে আজাদ ক্রীড়া সম্পাদক

ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনী প্রেস ক্লাবের ২০২১ সালের নির্বাচন শহরের ক্রাউন ওয়েস্ট রেস্টুরেন্টে ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঞার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দেশ টিভির ফেনী জেলা প্রতিনিধি শেখ ফরিদ উদ্দিন আত্তারের সঞ্চালনায় বুধবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭১ টিভির ফেনী জেলা প্রতিনিধি জহিরুল হক মিলু কে সভাপতি ও বৈশাখী টিভির ফেনী জেলা প্রতিনিধি রাজন দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নতুন কমিটির অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন, সহ-সভাপতি শাহ আলম ভুঁইয়া, তমিজ উদ্দিন আমাদের ফেনী, এমএ সাঈদ খান আমার বার্তা, উদয়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-মফিজুর রহমান ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস, জাবেদ হোসাইন মামুন যুগান্তর, বৈকালী, কোষাধ্যক্ষ জোবায়ের আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক সমির উদ্দিন ভুঁইয়া ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন দৈনিক আমার কাগজ, ক্রীড়া সম্পাদক এ কে আজাদ মানব বার্তা ও স্বদেশ প্রতিদিন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মেহরাব হোসেন মেহেদি। কার্য নির্বাহী সদস্যরা হলেন, আবুল কাশেম চৌধুরী বাংলাদেশ বেতার, রফিকুল ইসলাম বাংলাভিশন, আজাদ মালদার আরটিভি, জাফর সেলিম এশিয়ান টিভি, দিলদার হোসেন স্বপন চ্যানেল টুয়েন্টিফোর, শেখ ফরিদ উদ্দিন আত্তার দেশ টিভি, জাফর সেলিম এশিয়ান টিভি, জহিরুল হক মিলন আলোকিত বাংলাদেশ, আবুল হোসেন সবুজ নীহারিকা।
সাধারণ পরিষদের সদস্যরা হলেন,
মো. জাফর উল্যাহ আনন্দ টিভি, সাইফুল ইসলাম প্রভাতি খবর, এমাম হোসেন প্রথম ফেনী, শহীদুল ইসলাম দৈনিক জনবাণী।

সহযোগি সদস্যরা হলেন, মো. সাদ্দাম হোসেন গণি ঢাকা প্রতিদিন, নির্ভীক, সিরাজ উদ্দিন দুলাল, মিরাজুল ইসলাম মামুন ক্যামরা পার্সন বাংলা ভিশন,  জহিরুল ইসলাম কামরুল, নান্টু লাল দাস, আবু ইউছুপ মিন্টু, আবুল হোসেন রিপন, পলাশ ভৌমিক, আবু মনছুর ও এসবি সাজু।
এর আগে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জজকোর্টের পিপি, জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহম্মদ।
সভা শেষে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন মো. শাহআলম ভূঞা, তমিজ উদ্দিন ও জাফর সেলিম। নির্বাচনে সর্ব সম্মতিক্রমে জহিরুল হক মিলুকে সভাপতি ও রাজন দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
নির্বাচন শেষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।


 এমপি খোকার বিরুদ্ধে করা মানহানীর মামলা খারিজ করে দিলেন আদালত।


নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকার মানহানির মামলার আবেদন করেছেন এ আসনেরই সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার। বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ূন কবিরের আদালতে এই মামলার আবেদন করা হয়।

আদালত আর্জি গ্রহণ করে আবদুল্লাহ আল কায়সার ও তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য শুনেন। তবে তিনি তাৎক্ষনিক কোন আদেশ দেননি। পরে বিকেলে এ মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোঃ আসাদুজ্জামান ও বাদী পক্ষের আইনজিবী মেঃ জসিমউদ্দিন।

মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয় ২৬ ডিসেম্বর বিকালে সোনারগাঁ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে দরপত এলাকার ৪টি মাটির রাস্তা ও ২টি পাকা রাস্তার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সারকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, কায়সার সম্পত্তির জন্য তার মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে কোর্টে দাঁড় করিয়েছে। তাই যে সন্তান তুচ্ছ সম্পত্তির জন্য মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে মাকে কোর্টে দাঁড় করাতে পারে, তার কাছ থেকে জনগণ কি আসা করবে? এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই মামলাটির আবেদন করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটা মানহানিকর, খোকার বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে কারণেই আমি আদালতের শরনাপন্ন হয়েছি। তবে আদালতে প্রতি অগাত শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাবো।


 


 

 

 

 এরফান হোসেন দীপ, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সাংসদ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোবারক হোসেন এর একমাত্র পুত্র।


১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই নির্বাচনে সোনারগাঁও থেকে প্রথমবারের মতো আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হন মোবারক হোসেন।

মোবারক হোসেন ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি মোট ৪২,৮৭২ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন। তৎকালীন সংসদে বয়সের দিক থেকে মোবারক হোসেন ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। প্রথম সংসদ নির্বাচনে মোবারক হোসেনের নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন ন্যাপ(ভাসানী)

১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিত হয় তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ৬০টি। নির্বাচনী এলাকার নাম্বার ছিল ২০৪, নারায়ণগঞ্জ-৩। এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে মোবারক হোসেন ৫১,১৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান মিলু পান ২৪,৮৮৫ ভোট।

পরপর দু'বার সোনারগাঁও বাসী তাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করেন, সোনারগাঁও বাসীর প্রিয় মুখ ছিলেন মোবারক হোসেন,সব সময় সবার সুখে দুঃখে পাশে থাকতেন ,রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা না করে সব সময় সবার বিপদে ছুটে যেতেন খোঁজ খবর নিতে।


১৯৯৫ সালের ১৮ই ডিসেম্বর মৃত্যুবরন করেন মোবারক হোসেন,এরপর থেকে বাবার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার লক্ষ্য মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদ নামক একটি সংগঠন তৈরি করে দিনরাত অক্লান পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তার একমাত্র ছেলে এরফান হোসেন দীপ।

দলীয় প্রয়োজনে রাজপথে থেকে কাজ করেছেন তিনি, বিএনপি জোট সরকারের আমলে বারবার মিথ্যা মামলা দিয়েও ধমিয়ে রাখতে পারেননি এরফান হোসেন দীপ'কে


করোনাকালীন সময়ে মোবারক হোসেন স্মৃতি সংসদের কর্ণধার এরফান হোসেন দীপ উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডে করোনা মোকাবেলায় বেকার হয়ে পড়া অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এবং বিতরণের জন্য উপজেলা ছাত্রলীগ, বিভিন্ন মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী হস্তান্তর করেন।

 উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনাকালীন সময়ে আর্থিক সংকটের কারনে কৃষকের ধান পানিতে ডুবে যাচ্ছে শুনে নিজ অর্থায়নে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এরফান হোসেন দীপ।

অনলাইন নিউজ পোর্টাল "সোনারগাঁও সময়ে" প্রকাশিত টাকার জন্য নিজ সন্তানকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনতে পারছেন না অসহায় পিতা শিরোনামে একটি নিউজ দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে লোক পাঠিয়ে আর্থিক সহায়তা করেন।  

এবং সনমান্দি ইউনিয়নে একজন অন্ধ হাফেজের কোরআন তেলওয়াত সোস্যাল মিডিয়া শুনে ভালো  লাগায় ঐ অন্ধ হাফেজের খোঁজ খবর নেন এবং তার জন্য খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়ে দেন।

এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও শিশুদের খেলাধুলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হোন তিনি

 


সোনারগাঁয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ উদ্বোধন করলেন খোকা !!

সোনারগাঁ উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বছরের প্রথম দিনেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ১জানুয়ারী ২০২১ ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণের মাধ্যমে বই বিতরণ উদ্বোধন করেন নারায়নগঞ্জ ৩ সোনারগাঁ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। সোনারগাঁ উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য আবু নাইম ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, ইনস্ট্রাটার উপজেলা রিসোর্স সেন্টার হোসনে আরা বেগম, সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার কানিজ ফাতেমা ও কানিছ ফাতেমা,ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রোজিনা ইকবাল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বি আর বিলকিস,বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য গাজি মোবারক, নির্মল কুমার সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সকল ছাত্র ছাত্রীদের ও অভিভাবকদের মাঝে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হয়।

MKRdezign

Contact Form

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.
Javascript DisablePlease Enable Javascript To See All Widget