সোনারগাঁ উপজেলার পৌরসভায় অবস্থিত বহুল আলোচিত রয়্যাল রিসোর্টে গত ৩ এপ্রিল শনিবার হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধকে কেন্দ্র করে।
আ' লীগের উপজেলা দলীয় কার্যালয় ও যুবলীগ নেতা, ছাত্রলীগের নেতার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের করার ঘটনায় আজ শুক্রবার সোনারগাঁ থানায় আরো তিনটি মামলা হয়েছে।
একটি মামলায় মামনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করার ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে স্থানীয় হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির নেতাকর্মী ১১১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ৩০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এছাড়া অপর মামলাটি দায়ের করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সোহাগ রনির বাবা শাহ জামাল তোতা। এ মামলায় বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত নামা ২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আজ শুক্রবার জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হেফাজতে ইসলামের কর্মী খালেদ সাইফুল্লাহ (৩৪), কাজী সমির (৩২), অহিদুল ইসলাম (৩৬), আব্দুল আউয়াল (৩৯) কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
অপর দিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর দারুন নাজাত নুরানি মাদ্রাসায় সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক করার অভিযোগে পুলিশের হাত গ্রেফতার হওয়া ৭ জন হেফাজতে ইসলামের কর্মীকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সে সাথে আগামী রোববার রিমান্ডের উপর শুনানি হবে বলে জানা যায়।
Post a Comment