সোনারগাঁও টিভি২৪,
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ভাষণ উপলক্ষে ও বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করায় বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যেগে ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের আয়োজনে আনন্দ উদযাপনের আয়োজন করেন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শনিবার (৭ মার্চ) বিকালে এই আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণ ও মহান স্বাধীনতা অর্জনের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও সাহসীকতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন (ঢাকা রেঞ্জ)।
সোনারগাঁও থানার (ওসি তদন্ত) খন্দকার তবিদ রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ টিএম মোশারফ (অপরাধ), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম আহম্মেদ (প্রভিশনাল), সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম,
উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার ফেন্সী, মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাহমুদ বাবু, , বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম সিকদার শিপলু, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ আব্দুর রউফ, সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ্, সোনারগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওসমান গনি, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল নিলু।
এছাড়া সোনারগাঁও থানার দায়িত্বরত সেকেন্ড অফিসার এসআই পঙ্কজ কান্তি সরকার, এস আই রাকিবুল ইসলাম, তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আহসান উল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল একটি অগ্নিশলাকা যা প্রজ্জ্বলিত করেছিল মুক্তিযুদ্ধের ঐ দাবানলের যার সামনে টিকতে পারেনি শক্তিশালী পাকিস্তানী সেনাবাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় সহযোগিরা। ১৯৭১-এর ৭ই মার্চ থেকে ২৫শে মার্চ এই ১৮ দিনে এই ভাষণ বাংলাদেশের সাত কোটি মানুষকে প্রস্তুত করেছে মুক্তির সংগ্রামে – স্বাধীনতার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে। এসময় তিনি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপক্ষে পুলিশের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। সবশেষে কেক কেটে আনন্দ উদযাপনের করা হয়।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। কোরআন তেলাওয়াত পাঠ করেন, হাফিজ আব্দুল লতিফ।
উল্লেখ্য, গত ২২-২৬ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) বৈঠকে বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। সাধারণত সিডিপির চূড়ান্ত সুপারিশের ৩ বছর পর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে চূড়ান্ত স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
Post a Comment