সোনারগাঁও টিভি,
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া থেকে শুরু হয়ে ভায়া মঙ্গলেরগাঁও বটতলা বাজার থেকে পাঁচানী ও শম্ভুপুরাগামী সড়কটির অনেকাংশে বৃষ্টির কারনে পানি জমে খানা খন্দে বেহাল দশায় মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুর ইউনিয়ণের মঙ্গলেরগাঁও বাজার সংলগ্ন হাজী আব্দুল জলিল সুপার মার্কেটের সামনে পাঁচানীগামী সড়কটি একেবারই বেহাল দশা। সামন্য বৃষ্টি হলেই হাটু সমান পানিতে তলিয়ে যায়।
এতে করে প্রতিদিন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দুধঘাটা ও পাঁচানী এলাকার বাসিন্দারা। পাঁচানীগামী সড়কের পাশে রয়েছে তাহেরপুর হাজী লাল মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, তাহেরপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা, পিরোজপুর ইউনিয়ণ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে, হোসেনপুর শম্ভুপুরাগামী সড়কের পাশে রয়েছে দূর্গাপ্রসাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজিরগাঁও হাজী তমিজ উদ্দিন মাদ্রাসা, একই অবস্থানে চৌধুরীগাঁও সরকারী প্রাথমিক ও চৌধুরীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, হোসেনপুর এলাকায় হোসেনপুর কলেজ, হোসেনপুর এসপি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, হোসেনপুর ইউনিয়ণ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, হোসেনপুর ভূমি অফিস, শম্ভুপুরা ইউনিয়ণ পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
প্রতিদিন এসড়কে উপজেলা সদরে যাওয়া এবং মেঘনাঘাট এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কর্মরত শ্রমিক, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সরকারী চাকুরিজীবি ও ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষের চলাচল। এসড়কে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, সরকারি চাকুরিজীবি ও কারখানায় কর্মরত শ্রমিক সহ সাধারন মানুষ আসা যাওয়ার সময় প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে করে ওই এলাকার যাত্রীরা প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
বিগত সময়ে মঙ্গলেরগাঁও, দূর্গাপ্রসাদ, কাজিরগাঁও, চৌধুরীগাঁও, রামগোবিন্দেরগাঁও, মনাইয়েরকান্দি, মুগারচর, টেকপাড়া, ভিটিকান্দি, হোসেনপুর, চেলারচর, দশদোনা নয়াগাঁও, একরামপুরা, নবীনগর, এলাহীনগর, ইসলামপুর, ফরদি ও শম্ভুপুরাসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে এবং এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্যের বাজারজাত করা, রোগী নিয়ে সহজে উপজেলা সদর হাসপাতালে যাওয়া, মালবাহী বিভিন্ন পরিবহন ও ব্যবসায়ীদের দ্রুত বাজার হাটে পৌছানোর জন্য ও কারখানায় কর্মরত শ্রমিকেরা সহজে কর্মস্থলে যাওয়ার লক্ষে সড়কটি মোগরাপাড়া থেকে শুরু হয়ে ভায়া মঙ্গলেরগাঁও বটতলা বাজার থেকে শম্ভুপুরা পর্যন্ত একটি কাঁচা সড়ক নির্মাণ করা হয়।
নির্মাণাধীন সড়কটি স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে বিগত কয়েক বছর পূর্বে পাকা করা হয়। এরপর খানা খন্দে ভরা বেহাল সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের আর কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি কোন সরকার। সম্প্রতি রাস্তাটি পুনরায় সংস্কার করার জন্য কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাস্তার দুরত্ব ভাগ ভাগ করে বিভিন্নস্থানে খুড়াখুড়ি করে বেহাল অবস্থায় রেখে কাজ বন্ধ করে চলে যায়। এতে করে আগের তুলনায় শম্ভুপুরা ইউনিয়ণবাসীর ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। চরম ভোগান্তির শিকার স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রশ্ন কোন অজ্ঞাত রহস্যজনক কারনে রাস্তাটির সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির কারনে কয়েক বছরে রাস্তাটি ভেঙ্গে খানা খন্দে, বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এখন সড়কটি ভেঙ্গে পুরোপুরি চলাচল অনুপযোগী হয়ে মৃত্যু ফাঁদে পরিনত হয়েছে। শম্ভুপুরা ইউনিয়নের এলাকাবাসী স্থানীয় সাংসদসহ এলজিইডির কর্তা ব্যক্তিদের কাছে এ ব্যাপারে বারবার আবেদন করে অবহিত করলেও তারা রাস্তাটি পুনরায় সংস্কারের কাজ চালু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চরম অবহেলিত এ সড়কটি দিয়ে চলাচলরত পথচারীদের দূর্ভোগ আজ চরমে পৌঁছেছে।
বর্তমান নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার কাছে স্থানীয় এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি। হোসেনপুর ও শম্ভুপুরা ইউনিয়ণ বাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে তিনি যেন সড়কটি পুনঃরায় সংস্কার কাজ চালু করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতি তদারকি ব্যবস্থা গ্রহনসহ রাস্তা দুটি দ্রুত সংস্কার করার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী।
Post a Comment